যথেষ্ঠ > যথেষ্ট
দেয়া > দেওয়া (কেউ কেউ মানতে নারাজ)
বড় > বড়ো (কেউ কেউ মানতে নারাজ)
ছোট > ছোটো (কেউ কেউ মানতে নারাজ)
নিরবে > নীরবে
যক্ষা > যক্ষ্মা
ধাঁধাঁ > ধাঁধা
গলাধকরণ > গলাধঃকরণ
গুতা > গুঁতা
বয়সী > বয়সি/বয়েসি
ফরম্যাটিং:
চার > চার.
পাঁচ > পাঁচ.
ছয় > ছয়.
[সূত্র: বাংলা একাডেমী বানান-অভিধান]
[মূল পোস্টে বানান বিষয়ক আলাপ না করতে অনুরোধ করছি]
7 comments:
"দেয়া", "বড়", "ছোট" - এগুলোকে ভুল বলা যায় কি?
এই দুইটা তো বোধহয় ঠিকই আছে পোস্টে-
* ঘনিষ্ঠ
* বয়সী
ঘনিষ্ঠ ঠিক আছে। বাদ দিচ্ছি।
বয়সী এখন লেখা হয় না। বয়সি/বয়েসি লেখা হয়।
দেয়া=মেঘ
দেওয়া=প্রদান করা
বাংলা একাডেমী ছোট, বড়-কে যথাক্রমে ছোটো, বড়ো লিখছে। ছোটো'র যৌক্তিকতা নিয়ে আমার কিছু সংশয় আছে। বড়-কে বড়ো লেখার কারণ আমি নিজেও জানি না। তাই ছোট, বড়-কে এক কথায় ভুল বলতে পারছি না।
আমার বাসায় বাংলা একাডেমির যে অভিধান আছে, সেটা হলো-
Twenty Fifth Reprint
Falgun 1415/February 2009
এখানে ৫০৫ পৃষ্ঠায় দেখতে পাচ্ছি-
বয়সী adj 1 of a particular age: আধবয়সী, middle-aged; সে আমার ছেলের বয়সী. 2 advanced in age; aged; old. বয়সিনী fem.
আমি কিন্তু কোথাও বয়সি/বয়েসি পেলাম না।
তেমনি ছোটো/ছোট এবং বড়ো/বড় দুইরকম ভুক্তিই আছে। আবার দেওয়া=দেয়া আছে, যা অভিন্নতা নির্দেশ করে। তাই ছোট, বড়, দেয়া - এই তিনটাকে ভুল বলা যাবে না বোধহয়।
বাংলা একাডেমির অভিধানই বলছে যে, "দেয়া" বিশেষ্য অর্থে "মেঘ", কিন্তু ক্রিয়া অর্থে "দেওয়া"।
১। আমার হাতে বাংলা একাডেমী বানান-অভিধানের পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৮ এ প্রকাশিত।
২। বানান-অভিধান প্রচলিত অভিধান থেকে আলাদা। প্রচলিত অভিধান শব্দার্থের জন্য যা শব্দের অর্থ ও উৎস নির্দেশ করে। বানান-অভিধান শুধুমাত্র একাডেমী প্রণীত রীতিসিদ্ধ বানানগুলো দিয়ে সাজানো। বয়সী, ছোট, বড় শব্দগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলা লিখিত মাধ্যমে প্রচলিত। হয়তো তাই মূল অভিধানে এগুলোর অর্থ দেওয়া। বানান অভিধানে কোনো বিকল্প বানান নেই। বাংলা একাডেমী বিকল্প বানান ঝরাতেই একটা অর্থের জন্য একটা শব্দ ব্যবহার করছে। সে হিসেবে দেয়া, দেওয়া আলাদা।
একটা জিনিস বুঝলাম না, আপনি এখানে লেখকের দেওয়া লেখার একই নামে লিখছেন কেন? আপনাকে কপিরাইট কে দিলো? গুগুল করলে ২টা লেখার সংযোগ খুজে পাচ্ছি একই সাথে। এভাবে মানুষজনকে কনফিউজ করার মাজেজাটা কি? যদি উত্তরে ছাগুপনা করেন, যেমনটা মামুন সাহেবের দেওয়া যুক্তির জবাবে করেছেন, তাহলে থাক, উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই। আপনে যে একটা ছাগু, সেটা বুঝেন? কেউ কিছু বললে তার কাঁধে লাফিয়ে পড়েন, নিজে ডেকে ডেকে ঝগড়া করেন, আরেকটু সংযত হোন, কেউ আপনাকে আক্রমন করছে না
modhu,
লেখকের দেওয়া নাম আর আমার দেওয়া নাম অবিকল এক না। লেখক নাম দিয়েছেন 'প্ররক্ষা বনাম প্রতিযোগিতা', আমি নাম দিয়েছি 'প্ররক্ষা বনাম প্রতিযোগিতা (হিমু)'। কপিরাইট বিষয়ক জটিলতা এড়াতে নয়, বরং বোঝার সুবিধার জন্য এমনটা করেছি। তাছাড়া লেখার কপিরাইট লেখক সংরক্ষণ করেন। অভিযোগ তোলার অধিকারও তাঁরই।
আমি সঠিক বাংলায় লিখতে-পড়তে আগ্রহী। বাংলা বানান নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে। ব্লগে ভুল বানানের পরিমাণ মুদ্রণ মাধ্যমের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা দেখে দেখে, পড়ে পড়ে বানান শিখি। যাঁরা নিয়মিত ব্লগ পড়েন তাঁরাও এ কারণে মনের অজান্তেই অনেক ভুল বানানে অভ্যস্ত হয়ে যান। আমরা যদি একে অপরের ভুলগুলো দেখিয়ে দিই তাহলে ভুলের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। সেই আলোচনাই এই ব্লগের উদ্দেশ্য। শাহরিয়ার মামুন আর আমি এখানে আলাপ করছি। ঝগড়া করছি না। কারণ আমরা দুজনই ঠিক বানানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাই। আমার জানায় ভুল থাকলে আমি শুধরে নিতে ইচ্ছুক। আমার বিশ্বাস মামুন সাহেবও ঠিক তা-ই। ডেকে ডেকে ঝগড়া করা বা কারো কাঁধে লাফিয়ে পড়ার প্রবণতা এখানে আমি খুঁজে পাই নি। বরং আপনার মন্তব্যটিই এ ব্লগের প্রথম ও একমাত্র অসংযত, আক্রমণাত্মক মন্তব্য।
সুপ্রিয় modhu,
এখানে কিন্তু আমরা আলোচনাই করছিলাম। সঠিক বানান নিয়ে দ্বিধা আমাদের অনেকের মধ্যেই কাজ করে। বাংলা একাডেমীও তাদের বানানরীতিতে নিয়মিত পরিবর্তন আনছে, যা সবার সুবিধার্থে করা হলেও, অনেকের কাছেই বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষে আমার কাছেও হয়। বহু বছরের পরিচিত অনেক বানানই নতুন বানানরীতির কারণে এখন নাকি ভুল। এটা সবক্ষেত্রে মানতেই হবে, এমনটা মনে করি না আমি। এই কারণেই আলোচনা। যাই হোক, আপনিও যেকোনও সময় আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, আপনার মতামত দিতে পারেন। এখানে হোক, অথবা আপনি আপনার নিজস্ব সুযোগ-সুবিধা-সময় অনুযায়ী এই কাজটা করতে পারেন, যেখানে সম্ভব হয়, যেখানে ভুল চোখে পড়ে। এতে বোধ করি সবাই উপকৃত হবেন। শুদ্ধ বানান চর্চা সবসময়ই কাম্য। চলুন এই বিষয়টা নিয়ে সচেতনতা বাড়াই আমরা। গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনার মাধ্যমে। ভালো থাকবেন।
Post a Comment