কিনা > কি না (কিনা=যেহেতু, কি না=সংশয়সূচক অব্যয়)
হয়েছিল > হয়েছিলো
একজায়গায় > এক জায়গায়
অ্যাপ্রোচ > মনোভাব/ভঙ্গি?
[মূল পোস্টে বানান বিষয়ক আলাপ না করতে অনুরোধ করছি]
May
5
2010
Category :
Time: 1:23 AM
2010 - Copyright © বানানালয় All rights reserved.
Wordpress Theme by : SkinPress.com | Blogger Template by Anshul Dudeja
8 comments:
১. ধন্যবাদ, সম্মানিত বোধ করছি। :)
২. সন্দেহ, সংশয় বা বিতর্ক, কারণ, যেহেতু , অর্থাৎ, প্রশ্নবোধক- সবক্ষেত্রেই কিনা একসঙ্গে বসবে।
৩. হয়েছিলো কেন হবে বুঝতে পারি নি। বুঝতে চাই। হয়েছিল্ বলে যেহেতু কোনো শব্দ নেই, তাই এখানে সচেতনভাবে ও-কারান্ত বাদ দিয়েছি।
৪. এক জায়গায় - ঠিক আছে।
৫. এই জায়গাটাতে অ্যাপ্রোচ-এর বাংলা কী হবে তা নিয়ে এখনো দ্বিধা আছে। আমি বলতে চেয়েছি, শিক্ষামন্ত্রীর মনোভাব (অন্তর্গত) এবং আচরণ (বাহ্যিক) - উভয় ক্ষেত্রেই 'অ্যাপ্রোচ'টা ইতিবাচক। শুধু অ্যাপ্রোচ বললে মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি বোঝায়, কিন্তু মনোভাব এবং এর সাথে আচরণের মিশ্রণকে কী বলা যেতে পারে? হেল্প, প্লিজ!
অ্যাপ্রোচের ব্যাপারে আমিও হেল্প চেয়েছি। খুঁজে পেলে জানাবো।
কি না, কিনা- অভিধানে আলাদা দেখলাম। কী করবো?
কাউকে আর্থিকভাবে ছিলে দেওয়াকে আমরা "ছিল" দেওয়া বলি। এটা আমার ব্যক্তিগত যুক্তি। কতটা গ্রহণযোগ্য জানি না।
২. 'কি না' ও 'কিনা'র ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োগ আছে। দুটোকে এক করে না-দেখাই ভালো। 'তুমি যাবে কি না তাড়াতাড়ি বলো' আর 'যখন তখন ভুলভাল লিখেও সে কিনা বানানবিশারদ'কে কীভাবে এক করে দেখবেন?
৩. 'ছিল'ই যথার্থ। এক্ষেত্রে ও-কারান্ত বর্জনের প্রস্তাব 'বাংলা একাডেমী'ও করে। কাউকে আর্থিকভাবে ছিলে দেওয়াকে 'ছিল' বলার রেওয়াজ সম্ভবত স্থানীয় বাস্তবতা, মোটেই সর্বজনীন নয়। সুতরাং এটা অর্থগতভাবে কোনোই সংশয়ে ফেলবে না। তাছাড়া, হয়েছিল, করেছিল, চেয়েছিল, বলেছিল প্রভৃতি শব্দের 'ছিল'কে ছিলে দেওয়া অর্থে পাগলেরও নেবার সম্ভাবনা নেই।
৫. ক্রিয়া ও বিশেষ্য হিসেবে অ্যাপ্রোচ শব্দটির অনেকগুলো অর্থ আছে। (যদিও 'অমৃত'-এর মতো ৪৯টি অর্থ নেই এর : বঙ্গীয় শব্দকোষ দ্রষ্টব্য)। অন্তর্গত মনোভাব ও বাহ্যিক আচরণকে একসঙ্গে ধরতে পারে বিশেষ্য হিসেবে অ্যাপ্রোচের এমন বাংলা সম্ভব কি না জানি না। 'মনোকর্মভঙ্গি' বলতে পারেন কি?
আমি জানতাম আমার যুক্তি খোঁড়া। কিন্তু অভিধানে ছিলো পেয়েছি। তাছাড়া ও-কার দিবো কি দিবো না তা নিয়ে মাথা না চুলকে ও-কার দেওয়াটাই নিরাপদ মনে হয় আমার কাছে। সেজন্যই হয়তো এই পক্ষপাত।
আলোচনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
'ছিল' একদিন 'ছিলো'রূপে ছিল বটে, এজন্যই অভিধানে পেয়েছেন। তবে যে অভিধানে পেয়েছেন, সেটা নিশ্চিত অর্থাভিধান। বানানের জন্য বানান-অভিধানের শরণ নেয়াই যথার্থ নয় কি? 'বাংলা একাডেমী'র বানান-অভিধান মতে, স্পষ্টতই 'ছিল' লিখতে বলা হয়েছে। এত স্পষ্টতার পরও মাথা চুলকানো দরকার মনে করলে খুশকির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না একেবারেই! হাহাহা!
বানান-অভিধানে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি ও বিলম্ব হতে পারে এরকম ক্ষেত্র (ভালো, মতো, আলো, কালো, হলো ইত্যাদি) ছাড়া ক্রিয়াপদের বেশ কয়েকটি রূপের এবং কিছু বিশেষণ ও অব্যয় পদের শেষে ও শুরুতে যথেচ্ছভাবে ও-কারান্ত ব্যবহার না-করবার কথা বলা হয়েছে (যেমন ছিলো, বলতো, কেনো, যেনো ইত্যাদি না-লিখে লিখতে বলা হয়েছে ছিল, বলত, কেন, যেন ইত্যাদি)।
অর্থাভিধানে একটা শব্দ থাকা মানেই সেটা বানানের দিক থেকেও প্রমিত/সিদ্ধ, তা না-ও হতে পারে। অভিধানগুলো সাধারণত একটি শব্দ যে বানানে, যে অর্থে প্রচলিত আছে, তার সংকলন করে থাকে। সঙ্গে থাকতে পারে শব্দটির বুৎপত্তি, উচ্চারণ, প্রয়োগেতিহাস ইত্যাদি। সেজন্য বানানের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার প্রয়োজনে বানান-অভিধানের ওপর নির্ভর করাই নিরাপদ।
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত। মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
মুজিব ভাই, আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে বাংলা একাডেমীর বানানরীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু সব বানানই যে বানান অভিধান অনুসারে লিখতে হবে, সেটা মনে করি না। কারণ বাংলাদেশে এখনও এককভাবে বানানের ব্যাপারে বাংলা একাডেমীর অভিভাবকত্ব নেই। আর বানান অভিধানের অনেক বানানই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এনসিটিবি কিংবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানরীতিকে যুক্তিসম্মত মনে হয়।
তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি বাংলা একাডেমীর বানান নির্ধারণপ্রক্রিয়াকে এককভাবে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তারা যে বানানই তারা নির্ধারণ করবেন, সেটাই মনের মধ্যে 'নোট অব ডিসেন্ট' রেখে লিখতে বাধ্য হব।
@বুনোহাঁস, আমি প্রথম কিছুদিন আপনার পোস্টগুলোতে কমেন্ট করছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম আপনি শুধু বানান অভিধানকে ভিত্তি ধরে অনেক শুদ্ধ বানানকেও ভুল বলে ধরছেন, তখন দেখলাম এ নিয়ে কথা বললে কেবল তর্কই বাড়বে। আপনি ভুল করছেন, সেটা বলছি না। কিন্তু অনেক শুদ্ধ বানানই এভাবে ভুলের আওতায় পড়ে যেতে পারে।
গৌতমদা, আমি তো সব জানি না। আপনাকে অনুরোধ করব ভুল পেলে আমাকে ধরিয়ে দিতে। আমি শিখতে ইচ্ছুক।
Post a Comment