সর্বোনাশ > সর্বনাশ
ধোয়ে > ধুয়ে
ফতোয়া > ফতুয়া
টঙ > টং
কোন > কোনো (কোন-এর উচ্চারণ কোন্)
কিভাবে > কীভাবে (কোনভাবে অর্থে)
দু’কদম > দুকদম (বর্ণলোপচিহ্ন এখন তুলে দেওয়া হচ্ছে। যেমনঃ দু'টো>দুটো)
ফেরৎ > ফেরত
হাসফাস > হাঁসফাঁস
রোগে ভোগে ভোগে > রোগে ভুগে ভুগে
দূববর্তী > দূরবর্তী
একনম্বর > এক নম্বর
চেচামেচি > চেঁচামেচি
রুগী > রুগি (রোগী তৎসম শব্দ, সেক্ষেত্রে ঈ-কার। রুগি আঞ্চলিক উচ্চারণ। এক্ষেত্রে ঈ-কারের কোন বিধান নেই, তাই ই-কার।)
জীবনসঙ্গি > জীবনসঙ্গী
কতো > কত (কত, কতো দুইয়ের উচ্চারণ এক। তাই বিকল্প পরিহার করে কত লেখা হয়।)
দেবদূতি > দেবদূতী (আমার একটু খটকা আছে। সংসদ বাঙ্গালা অভিধানমতে দূতী/ দূতি দুইই হয়। বাংলা একাডেমীর বানানরীতি মতে তাহলে দূতি লেখা উচিত। বিকল্প ঈ-কার ত্যাগ করার লক্ষ্যে। কিন্তু তারা বলছে দূতী।)
[মূল পোস্টে বানান বিষয়ক আলাপ না করতে অনুরোধ করছি]
2 comments:
চমৎকার ! খুবই ভালো উদ্যোগ। টাস্কি খাইলাম, হা হা হা !
কিঞ্চিৎ আলোচনা করি ?
সর্বনাশ অবশ্যই সঠিক শব্দ, সর্বোনাশ আমার ইচ্ছাকৃত ব্যবহার অতিরিক্ত মাত্রিক ব্যঞ্জনা আনার জন্য।
ধোয়া সঠিক শব্দ, ধৌত অর্থে। [বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান জানুয়ারি ২০০৭]
ধুয়া হচ্ছে গানের যে অংশ দোহারগণ বার বার গায়।
ফতোয়া,ফতুয়া,ফতওয়া, এই তিনটি শব্দেরই এক অর্থ, ইসলাম ধর্মশাস্ত্রসম্মত সিদ্ধান্ত বা রায়। পোশাক অর্থে কোন শব্দ অভিধানে নেই।
টং,টঙ,টঙ্গ,টঙ্গি,টোঙ- মঞ্চ বা মাচায় নির্মিত গৃহ জাতীয় ইত্যাদি। অভিধান ঐ। সবগুলোই সঠিক শব্দ।
কিভাবে সঠিক বলেই জানি। যদিও কি প্রশ্নবোধক অর্থে হাঁ-না উত্তরজ্ঞাপক এবং কী সুনির্দিষ্ট প্রশ্নবাচক। কিন্তু কীভাবে যতটুকু জানি ভুল শব্দ। (আরো জানতে হবে)
দু'কদম মন্তব্য নেই। তবে ফেরৎ অবশ্যই ভুল শব্দ ব্যবহার করেছি।
হাসফাস বা হাঁসফাঁস, দুটোই অভিধান বহির্ভূত শব্দ। তাই মন্তব্য নেই।
ভোগা, ভুগা, দুটোই শুদ্ধ শব্দ (অভিধান ঐ )
চেচামেচি অবশ্যই আমার ভুল ব্যবহার। চেঁচামেচি সঠিক।
রুগী ভুল শব্দ। রোগী,রুগি সঠিক।
সঙ্গি বানানটাই এখন প্রচলিত।
কতো শব্দের যেহেতু ভিন্ন অর্থ নেই, তাই আমি এভাবেই ব্যবহার পছন্দ করি।
দূত শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে অভিধানে শুদ্ধ শব্দগুলো ক্রমান্বয়ে দূতি,দূতী,দূতিকা,দোতি দেয়া আছে।
আমি মূলত বাংলা একাডেমীর বানানরীতি ব্যবহার করি।
সত্যিই আপনার এই উদ্যোগটাকে অভিনন্দিত করছি। আজই প্রথম চোখে পড়লো। ধন্যবাদ আপনাকে আরো বেশি বানান সচেতন করে তোলার জন্যে।
-রণদীপম বসু
ধুয়া, ভুগা/ ভোগা ঠিক আছে।
বাকিগুলো নিয়ে বলি।
ফতুয়া=হাত-কাটা ছোট জামা বিশেষ [আরবি ফতূহী থেকে]
ফতোয়া=ইসলামী শাস্ত্রানুযায়ী রায় [আরবি ফৎরা থেকে]
টং,টঙ,টঙ্গ,টঙ্গি,টোঙ-সবগুলো সমার্থক। বিপদ ওইখানেই। বিভ্রান্তি দূর করার জন্যই বাংলা একাডেমী বিকল্প বানান ত্যাগ করছে। বানান-অভিধানে শুধুমাত্র টং আছে। বাকিগুলো নেই।
অভিধানে কীভাবে আছে, কিভাবে নেই। যে যুক্তিতে কী, কীসে, কীসের লেখা, একই যুক্তি কীভাবে'র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
হাঁসফাঁস বানানটিও অভিধানেই লেখা।
কত/ কতো ব্যাপারে কিছু বলার নেই।
বাংলা একাডেমীর নিয়মমতে দূতি লেখার কথা। কিন্তু তারা লিখেছে দূতী।
[সূত্রঃ বাংলা একাডেমী বানান অভিধান, সংসদ বাঙ্গালা অভিধান]
Post a Comment